কৃষি সংবাদ প্রতিনিধি যশোর :
ফিশ মিল বা শুঁটকির গুড়া ঘোষণা দিয়ে আনা চালানের ভেতর পাওয়া বিপুল পরিমাণ শুঁটকি সাময়িকভাবে জব্দ করেছে যশোরের বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ড থেকে এসব জব্দ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজ ৫০ মেট্রিক টন ফিশ মিল ঘোষণা দিয়ে পণ্য চালানটি আমদানি করে। এটির রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ইনোভেটিভ। চালানটি বন্দর থেকে ছাড় করার জন্য প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার নামের এক সিএন্ডএফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন। ভারতীয় তিনটি ট্রাকে করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে আসে চালানটি।
বেনাপোল কাস্টমসের পরীক্ষণ কর্মকর্তা (রাজস্ব অফিসার) জাহিদুর রহমান বলেন, বুধবার দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কাছ থেকে তথ্য পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তারা আমদানি করা চালানটি পরীক্ষণ করেন। এ সময় তিনটি ট্রাকে ৫০ মেট্রিকটন ফিশ মিলের মধ্যে ঘোষণাবহির্ভূত প্রায় ৭ টন উচ্চ শুল্কের শুঁটকি মাছ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকার ডিউটি ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল।
সিএন্ডএফ এজেন্ট তারেক বাবুল জানান, আমদানি করা চালানটি ফিশ মিলের। এখানে শুঁটকি মাছ নেই। ল্যাবে পরীক্ষণ করলেই তা প্রমাণিত হবে। এখানে তাদের বা আমদানিকারকের অপরাধ নেই। শুল্ক ফাঁকির প্রবণতাও তাদের নেই।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরীর ভাষ্য, চালানটি সাময়িকভাবে আটক করা হয়েছে। প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল। কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।