কৃষি সংবাদ ডেস্ক:
বিদেশে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি বারে বারে নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার দেওয়ার তাগিদ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।
সূত্র জানায়, বিদেশে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার মাঠ পর্যায়ের জুনিয়র কর্মকর্তা এবং যারা আগে বিদেশে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেননি তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই ব্যক্তি যেন বারবার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেদিকে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থা থেকে বিদেশে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের জুনিয়র কর্মকর্তা এবং যারা এর আগে বিদেশ প্রশিক্ষণে (সেমিনার/কনফারেন্সে/ওয়ার্কশপ/সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি) অংশগ্রহণ করেননি তাদের অগ্রাধিকার দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একই ব্যক্তি যেন বারবার বিদেশে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে না পারেন সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিবেদন পাঠাতেও বলা হয়েছে।
সভার কার্যবিবরণীতে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারের বিষয়ে নেওয়া ব্যবস্থার সর্বশেষ অগ্রগতি এবং চলতি মাসে কোনো বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার হয়ে থাকলে তার তথ্য প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের আইন অধিশাখায় পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন স্ব স্ব দপ্তর ও সংস্থার টিওএন্ডইভুক্ত মোট গাড়ির সংখ্যা (সচল গাড়ির সংখ্যা, মেরামতযোগ্য গাড়ির সংখ্যা, অমেরামতযোগ্য গাড়ির সংখ্যা), টিওএন্ডই বহির্ভূত গাড়ির সংখ্যা, প্রকল্পের গাড়ির সংখ্যা (সমাপ্ত প্রকল্পের গাড়ি সংখ্যা এবং বর্তমান প্রকল্পের গাড়ির সংখ্যা), প্রতি মাসে অকেজো ঘোষিত গাড়ির সংখ্যা এবং নিলামে বিক্রিত গাড়ির সংখ্যা নির্ধারিত ছকে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, বিদেশে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের জুনিয়র কর্মকর্তারা অবহেলিত থাকেন। অনেক সময় দেখা যায়, যার যে প্রশিক্ষণ দরকার তাকে সেখানে যাওয়ার সুযোগ না দিয়ে যার দরকার নেই উনি যাচ্ছেন। অতিরিক্ত জনবল এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও লোকজন যাওয়ার প্রবনতা রয়েছে। এ কারণে যার প্রশিক্ষণ দরকার তাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।