1. admin@krishisangbad.com : admin :
খোয়াই নদীর বাঁধ মেরামতে গড়িমসি, হুমকিতে বোরো চাষ - কৃষি সংবাদ
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

খোয়াই নদীর বাঁধ মেরামতে গড়িমসি, হুমকিতে বোরো চাষ

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৬ বার পঠিত

কৃষি সংবাদ প্রতিনিধি হবিগঞ্জ:

বন্যার পানি বের হতে হবিগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ কেটে দেওয়া হলেও চার মাসেও মেরামত হয়নি। ভাঙন দুইদিকে বিস্তৃত হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে ও সামনের বোরো মৌসুমে ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, খোয়াই নদীর বাঁধের ভাঙন প্রায় ২০০ ফুট প্রশস্ত হয়েছে। দুদিক থেকে লোকজন ডিঙি নৌকা ও টিনের নৌকায় রশি টেনে পারাপার হচ্ছেন। জায়গাটি পার হতে সময় ব্যয় হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ মিনিট।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত আগস্টের বন্যায় খোয়াই নদীতে পানি বেড়ে হবিগঞ্জ শহর তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। তখন জালালাবাদের দিকে নদীর বাঁধ প্রায় ২০ ফুট জায়গা কেটে দেওয়া হয় নদীতে পানির চাপ কমানোর জন্য।

বাঁধ ভেঙে দেওয়ার পরদিনই হবিগঞ্জ শহর অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত হয়। কিন্তু বন্যা মোকাবিলার চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও বাঁধের ভাঙা স্থানটি মেরামত করা হয়নি।

বাঁধে নির্মিত পাকা সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক দিয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ও রিচি এবং লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের মানুষ চলাচল করে। পাশের জেলা কিশোরগঞ্জেরও কিছু লোকের এদিকে আসা-যাওয়া আছে।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর, চানপুর, গোপালপুর, মথুরানগর, জয়নগর, ইসলামপুর ও যাদবপুরসহ অনেক গ্রামের লোকদের শহরে আসার একমাত্র রাস্তা এটি। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে ভাঙন পর্যন্ত গিয়ে বাকি পথ হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন।

শুক্রবার বিকেলে গাছ থেকে পড়ে হাতে ব্যথা পাওয়া শিশু সন্তানকে নিয়ে জেলা সদরে যাচ্ছিলেন গোপালপুরের ইকরাম আলী। রোগী নিয়ে ডিঙি নৌকায় পার হতে তার ৩০ মিনিট সময় লাগে।

পরে বাঁধ মেরামত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, ছেলেটা ভাঙা হাতের ব্যথায় কাতরাচ্ছে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অন্তত ১ ঘণ্টা সময় বেশি লেগে যাচ্ছে। ছেলেটার কান্নায় নিজের চোখের পানিও ধরে রাখতে পারতেছি না।

এদিকে, ভাঙা স্থানটি মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে কয়েকজন জানান। এ নিয়ে গ্রামবাসীর কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে।

রিচি গ্রামের জিতু মিয়া বলেন, বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত করার আগে হাওরে বোরো চাষ করা উচিত হবে না। কারণ নদীর সঙ্গে হাওরের সরাসরি যোগাযোগ থাকায় বর্ষার শুরুতেই পুরো হাওর প্লাবিত হয়ে পড়বে। এতে হাজারো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হাবিবুর রেজা বলেন, বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত করার জন্য নকশা প্রণয়ন হচ্ছে। দরপত্র আহ্বান করে আগামী এক মাসের মধ্যেই মেরামত কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।

তিনি আরও দাবি করেন বন্যা থেকে বাঁচতে শহর রক্ষার জন্য বাঁধ কেটে দেওয়া হয়নি। প্রাকৃতিকভাবেই স্থানটি ভেঙে গিয়েছিল।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ কৃষি সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park