জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সাময়িকভাবে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, প্রতিদিন দেশে ডিমের চাহিদা ৫ কোটি পিস। সীমিত সময়ের জন্য দেশের সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আমদানিকারক সাত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ (১ কোটি পিস), মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্স (১ কোটি পিস), মেসার্স সুমন ট্রেডার্স (২০ লাখ পিস), আলিফ ট্রেডার্স (৩০ লাখ পিস), হিমালয় (১ কোটি পিস), মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশ (৫০ লাখ পিস) এবং মেসার্স জামান ট্রেডার্স (৫০ লাখ পিস)।
আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের দেওয়া ছয়টি শর্ত মানতে হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমদানির জন্য মানতে হবে যেসব শর্ত-
(ক) দ্য ওয়ার্ড অরগানাইজেশন ফর এনিমেল হেলথ-এর গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লু মুক্ত জোনিং বা কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রফতানিকারক দেশের কমপোন্যান্ট অথরিটি কর্তৃক জোনিং বা কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট বা ঘোষণা দাখিল করতে হবে।
(খ) আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রফতানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।
(গ) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে।
(ঘ) ডিম আমদানির প্রতি চালানের অনূন্য ১৫ (পনেরো) দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট সংগনিরোধ কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।
(ঙ) আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরবর্তী ৭ দিন পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
(চ) আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বহাল থাকবে।